কক্সবাজারের রামু উপজেলার ঈদগড় এলাকা থেকে গত দুই রাতে একজন স্কুল ছাত্র ও একজন ব্যাংক কর্মচারিসহ চারজনকে অপহরণ করেছে দুর্বৃত্তরা। অন্যদিকে তিন দিন আগে কক্সবাজার শহর থেকে অপহৃত এক ব্যবসায়ীর সন্ধানও আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত মেলেনি। উপর্যুপরি অপহরণের ঘটনায় কক্সবাজারের বিস্তীর্ণ এলাকার জনজীবনে অপহরণ আতঙ্ক বিরাজ করছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, গতকাল সোমবার রাত ৯টার দিকে একদল অস্ত্রধারী একটি যাত্রীবাহী মিনিবাস থেকে নামিয়ে ব্যাংক কর্মকর্তাসহ তিনজনকে গহিন পাহাড়ে নিয়ে যায়। এর আগের দিন রবিবার রাতে একই এলাকা থেকে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করা হয় নবম শ্রেণীর এক স্কুলছাত্রকে। সর্বশেষ অপহৃত স্কুলছাত্রের জন্য দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে অপহরণকারীরা।
এ বিষয়ে কক্সবাজারের রামু থানার ওসি সাইকুল আহমদ ভুঁইয়া জানান, গতকাল সোমবার রাত ৯টার দিকে রামু ও বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সীমানা ঈদগড় বাইশারী সড়কের ব্যাঙ ডোবা নামক এলাকা থেকে অপহরণকারী চক্র অস্ত্রের মুখে সী হিল নামের একটি যাত্রীবাহী মিনিবাসের তিন যাত্রীকে নামিয়ে পাহাড়ের দিকে নিয়ে যায়। অপহৃতরা হচ্ছেন, বাইশারী কৃষি ব্যাংকের ক্যাশিয়ার জিতেন্দ্র কুমার দে, স্থানীয় ব্যবসায়ী মোহাম্মদ সেলিম ও তরুণ নুরুল আলম। ওসি আরো জানান, অপহরণের পর তিনজনকে ঈদগড় পাহাড়ের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনার পর থেকে পুলিশ পাহাড়টিতে অভিযান চালাচ্ছে। ইতিমধ্যে অভিযানে সহায়তা দেওয়ার জন্য বিজিবি সদস্যরাও যোগ দিয়েছেন।
এদিকে আজ মঙ্গলবার রামুর ঈদগড় পুলিশ ফাঁড়ির এসআই ফিরোজ আহমদ কালের কন্ঠকে জানান, এর আগে গত রবিবার রাত ৮টার দিকে ঈদগড় বাজার থেকে ঘরে ফিরার পথে অস্ত্রের মুখে ঈদগড় হাই স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্র মোরশেদকে অপহরণকারীরা নিয়ে যায়। এ ছাড়া আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত তিন দিন আগে স্থানীয় পানিস্যাঘোনা গ্রামের ফকির আহমদের ছেলে অপহৃত মোরশেদের সন্ধান মেলেনি।